সব শিকারি পাখির মতোই স্ত্রীটি আকৃতিতে বড়। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে, এক জোড়া ঈগল বেশ বড় এলাকা নিজেদের দখলে রাখে। উদ্দেশ্য, খাদ্র্যের প্রাপ্যতা। ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, সাপ ও ছোট পাখি এদের প্রধান খাদ্যএটি একটি বড় আকৃতির শিকারি পাখি। বাংলাদেশে সর্বত্র দৃশ্যমান। পাখিটি নিজের রং বদলায়, সে কারণেই এই নামকরণ। গাঢ় পর্বে ঘন কালো, ফিকে পর্বে হালকা বাদামি এবং দুই পর্বের মাঝে কালচে বাদামি।
পাখিটির ইংরেজি নাম Changeable Hawk-eagle. সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩০ ইঞ্চি, পাখার বিস্তার ৬৩ ইঞ্চি, ওজন এক কেজি ৯০০ গ্রাম। সব শিকারি পাখির মতোই স্ত্রীটি আকৃতিতে বড়। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে, এক জোড়া ঈগল বেশ বড় এলাকা নিজেদের দখলে রাখে। উদ্দেশ্য, খাদ্র্যের প্রাপ্যতা। ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, সাপ ও ছোট পাখি এদের প্রধান খাদ্য।
বহুরূপী-শিকরেঈগলের প্রজনন ঋতু স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। উপমহাদেশের পাখিদের বেলায় এ ঋতুটি সাধারণত নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা উঁচু গাছে বেশ শক্তপোক্ত বাসা তৈরি করে এবং তা প্রতিবছর মেরামত করে পুনরায় ব্যবহার করে। স্ত্রী পাখিটি কেবল একটিই সাদা রঙের ডিম পাড়ে। সে একাই ৪০ দিন ডিমে তা দিয়ে ছানা ফোটায়।
মা তার ছানাটিকে ব্যাপকভাবে আহার জোগানোর ফলে দুই সপ্তাহেই ছানাটির ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজন হয়ে যায়। আরও একটু বড় হলে উভয়ে খাদ্য সংগ্রহ করে এনে বাসায় না দিয়ে ছানাকে স্বাবলম্বী করার উদ্দেশ্যে কাছাকাছি ডালের উপর রাখে। তবে ছানাটি পুরোপুরি বড় হয়ে উড়ে যাওয়ার মতো হতে ৭০ থেকে ৮০ দিন লেগে যেতে পারে।
এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে এই পাখির বসবাস। আবাসস্থল ধ্বংসের কারণে সব বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এরা পরিবর্তনের সঙ্গে বেশ মানিয়ে নিতে পারে। তাই এদের জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ নেই। তবে আমাদের দেশে বনাঞ্চল ধ্বংসের গতি তীব্র হওয়ার কারণে এদের সংখ্যা আগামীতে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আইইউসিএন বহুরূপী-শিকরেঈগলকে আপাতত বিলুপ্তি হুমকিমুক্ত মনে করে।
লেখা ও ছবি : কাজী সানজীদ
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ঈগল শিকারি পাখি আকৃতি ঈগলের রং
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh